Posted on Aug 29, 2024 11:31:09 AM.
জাপানের দক্ষিণাঞ্চলে শক্তিশালী টাইফুন ‘শানশান’ আঘাত হেনেছে।
এতে বেশ কিছু লোক আহত এবং বাতাসের প্রবল ধাক্কায় ঘরের জানালা ও টাইলস উড়ে গেছে। এছাড়া মুষলধারে বৃষ্টির কারণে বন্যা ও ভূমিধসের আশংকা দেখা দিয়েছে।
জাপানে চলতি বছরের সবচয়ে শক্তিশালী এ টাইফুন ঘন্টায় ২৫২ কিলোমিটার বেগে বয়ে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকার আটটার দিকে দক্ষিণাঞ্চলীয় কিউশু দ্বীপে আঘাত হানে।
দ্বীপটিতে ১ কোটি ২৫ লাখ লোকের বসবাস।
টাইফুন আঘাত হানার আগেই কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ সতকর্তা হিসেবে হাজার হাজার লোককে অন্যত্র সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এছাড়া প্রাণ সংহারি বন্যা, ভূমিধস ও তীব্র ঝড়ের বিষয়ে সতর্ক করে।
একজন দুর্যোগ কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, উপকূলীয় মিয়াজাকি শহরে এ পর্যন্ত ২৬ জন আহত হয়েছে। এছাড়া ভবন ক্ষতিগ্রস্তের ১২৪টি ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে ঝড়ের কারণে কিউশুর দুই লাখ ৫৪ হাজার ৬১০টি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
জাপানের আবহওয়া অফিস সতর্ক করে বলেছে, প্রবল বর্ষণের কারণে দুর্যোগের ঝুঁকি জাপানের পশ্চিমাঞ্চলেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
শক্তিশালী টাইফুন শানশানের কারণে বৃহৎ অটো কোম্পানী টয়োটা তাদের ১৪ ফ্যাক্টরির সবকটিতেই উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়া নিশান ও হোন্ডা কিউশুতে তাদের কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে জাপান এয়ারলাইন্স বৃহস্পতিবারের জন্যে ২৭৫টি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিল করেছে। এতে বিপাকে পড়ছে ১৪ হাজার ৮৯৩ যাত্রী। শুক্রবারের জন্যে জাপান এয়ারলাইন্স ১৩টি ফ্লাইট বাতিল করেছে। এর ফলে বিপাকে পড়বে এক হাজার ৩০৭ যাত্রী।
এছাড়া এএনএ নিক্সড বৃহস্পতিবারের জন্যে ২১২ ও শুক্রবারের জন্যে ৪২টি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিল করেছে।
উল্লেখ্য, জাপানে চলতি মাসে টাইফুন অ্যামপিলের কারণে কয়েকশ’ বিমান ও ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। ঝড়টির কারণে ভারি বৃষ্টিপাত হলেও এটি টোকিওতে সরাসরি আঘাত না করে অঞ্চলটির পাশ দিয়ে অতিক্রম করে প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলের দিকে অগ্রসর হয়ে গেছে।
এরআগেগ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় মারিয়ার প্রভাবে জাপানের উত্তরাঞ্চলে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়।
গত মাসে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই অঞ্চলে ঝড়গুলো উপকূল রেখার কাছাকাছি সৃষ্টি হয়ে দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করে স্থলভাগে আঘাত হানছে। সূত্র-বাসস