কয়েক মাস ধরে চলা চড়া দামের মধ্যে বাজারগুলোতে শীতের সবজির সরবরাহ
বাড়ায় কমেছে সবজিসহ পিঁয়াজ ও রসুনের দাম। তবে চাল-ডাল, চিনি, ভোজ্য তেল,
মাছসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সিংহভাগ পণ্যের মূল্য বাড়তির দিকেই রয়েছে। ফলে ক্রেতা
সাধারণের মাঝে বিরাজ করছে নাভিশ্বাস। সাধারণ মানুষ বাজারে গিয়ে পড়ছেন
অস্বস্তিতে।
গতকাল রাজধানীর শনির আখড়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নতুন পিঁয়াজ আসায় এর
দাম কমেছে। কমেছে রসুনের দাম। আমদানি করা পিঁয়াজের দাম কেজি প্রতি কমেছে ১০
টাকা। গত সপ্তাহে কেজি ছিল ৫০ টাকা, এ সপ্তাহে তা ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
দেশি রসুনের দাম গত সপ্তাহে ছিল ৯০ টাকা, এ সপ্তাহে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আমদানি করা রসুনের দামও কেজি প্রতি কমেছে ২০ টাকা। গত সপ্তাহে ছিল ১৩০
টাকা, এ সপ্তাহে তা ১১০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া দেশি আদার দাম এক
সপ্তাহে হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ, গত সপ্তাহে যেখানে ১৩০ টাকা ছিল, এ সপ্তাহে
তা হয়েছে ২২০ টাকা।
শীতকালীন শাকসবজি সহজলভ্য হওয়ায় কয়েক দিনের ব্যবধানে বেশকিছু সবজি কেজিতে
১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। মুলার কেজি ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রকারভেদে
পাতাকপি ও ফুলকপিও বিক্রি হচ্ছে গত সপ্তাহের তুলনায় অর্ধেক দামে। গত
সপ্তাহে যেখানে প্রতি পিস ৬০ টাকায় বিক্রি হতো, এ সপ্তাহে তা ৩০ টাকায়
বিক্রি হচ্ছে। বাজারে খিরা আসায় কমেছে শসার দাম। খিরার কেজি ৫০ টাকায়
বিক্রি হচ্ছে।
শসা ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লম্বা বেগুন প্রতি কেজি ৪০ টাকা, টমেটো ১২০
টাকা, প্রতি কেজি শিম ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চালকুমড়া ও লাউ
আকারভেদে প্রতিটি ৬০-৭০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া কেজি ৩০-৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০,
পটোল ৬০, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, কচুর লতি
৮০ ও ধুন্দুল ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি
হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। নতুন আলু ১৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও কয়েকটি বাজারে দেখা গেছে, ব্রয়লার এখন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০
টাকায়। এক সপ্তাহ আগে ১৬০ টাকা ছিল। সোনালি মুরগি ৩০০ টাকা আর দেশি মুরগি
৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস কেজি ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস
৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের তুলনায় বিভিন্ন ডালের দামও কেজিতে ৫
থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি দেশি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়।
প্রতি কেজি কাঁকরোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা, ঝিঙে, ঢেঁড়স কেজি ৬০ থেকে
৭০ টাকা। কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা কমে কেজি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচকলার হালি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লালশাক প্রতি আঁটি বিক্রি
হচ্ছে ২০ টাকা, পালংশাক ২০ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শীতের
আবহে লেবুর দাম নাগালের মধ্যে রয়েছে।
চট্টগ্রাম থেকে নিজস্ব প্রতিবেদকের পাঠানো খবর অনুযায়ী, এক সপ্তাহের
ব্যবধানে কমেছে ডিম ও মুরগির দাম। তবে অপরাপর ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। এক
সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছিল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়,
গতকাল বিক্রি হয়েছে ১৪৫ থেকে ১৫৫ টাকায়। প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৪৫
থেকে ১৫০ টাকায়, গতকাল বিক্রি হয়েছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়। নগরের কাজীর দেউড়ি
বাজারে ৫০ কেজির প্রতি বস্তা চালে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এর
সঙ্গে সঙ্গে চাল, ডাল, আটা, ময়দা, তেল, চিনি, ছোলার দামও বেড়েছে। কমেছে
পিঁয়াজ, রসুন, আদা, ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম।